ইলুমিনাতি পর্ব - ১৫
ইলুমিনাতি পার্ট - ১৫
আজ আপনাদের একটু ভিন্ন তথ্য জানাবো।
প্রথম যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন তা হল ম্যাসনিক সিম্বল। দু'মাথার ফিনিক্স পাখি- যা কিনা ম্যাসনদের অনিবার্য জ্ঞানের প্রতীক। মাঝখানে পিরামিডে খোদাই করা 33 সংখ্যাটি ফ্রিম্যাসন্সদের সর্বোচ্চ ডিগ্রির প্রতীক। সর্বোচ্চ ডিগ্রি তেত্রিশ হওয়ার কারণ এর আগে ফ্রিম্যাসন্স সদস্যদের যাদের ম্যাসনিক ভাষায় বলা হয় 'ইনিশিয়েট' বা ' ভ্রাতৃ সংঘের ভাই' তাদের মোট তেত্রিশটি ধাপ অতিক্রম করে ভ্রাতৃ সংঘের সদস্য হতে হয়। পদ্ধতিটা অনেকটা প্রশিক্ষণের মত। এই ডিগ্রি আর রাইটসগুলো অনেক জটিল প্রক্রিয়ায় দেয়া হয়। সেসবের ব্যাখ্যা আরেকদিন দিব। একজন ইনিশিয়েট সব ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলে তাকে সর্বোচ্চ 33 ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তবে তেত্রিশ ডিগ্রি দেবার বেলায় একটু বেশিই সতর্কতা আর সংরক্ষণ নীতি প্রয়োগ করা হয়। টেকনিক্যালি এই সম্মানজনক ডিগ্রিটি কেবলমাত্র স্কটিশ রাইট এর অভ্যন্তরেই দেয়া হয়। স্কটিশ রাইট হল সুপ্রিম কাউন্সিল থার্টি থার্ড ডিগ্রির গভর্নিং বডি। এদের হেডকোয়ার্টার হলো হাউজ অব দি টেম্পল। "অর্ডো অ্যাব চাও" ধারণাটি ম্যাসনিকদের একটি আপ্তবাক্য যার অর্থ "বিশৃঙ্খলা থেকে শ্ঙ্খলা"।
দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ছবিগুলো লক্ষ্য করুন। একটা ঘর,যেখানে আছে একটা টেবিল,কংকালের খুলি,তরবারি, ক্রুশ সহ আরো কিছু জিনিস। এই ধরনের ঘরকে বলা হয় "চেম্বার অব রিফ্লেক্সশন"। এইসব ঘর হিমশীতল আর অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে স্থানে বানানো হয়,অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ড সেলের মত। এভাবে বানানোর কারণ যাতে করে একজন ম্যাসন তার নিজের নৈতিকতা অনুধাবন করতে পারে। এরকম একটা ভয়াল দর্শন ঘর দেখে আপনি হয়তো অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে বলতে পারেন,'এটা ধ্যান করার ঘর!' কিন্তু ম্যাসনদের ভাষায় এখানেই মৃত্যুর মতো অনিবার্য ব্যাপার নিয়ে ধ্যান করার মাধ্যমে একজন ম্যাসন বহু মূল্যবান মানব জীবনের প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে। এই চেম্বার অব রিফ্লেক্সশন ঘরে সবসময়ই থাকে বিশেষ কিছু প্রতীক--নরমুণ্ড, হাড়ের তৈরি ক্রুশ,কাস্তে,বালিঘড়ি,সালফার,লবণ, সাদা কাগজ,মোমবাতি। ম্যাসনদের মতে এগুলো মৃত্যুর প্রতীক,যা দেখে নাকি তারা এই পৃথিবীতে আরো ভালোভাবে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। সোজা কথায়, "রূপান্তরের প্রতীক"। এই রূপান্তর আবার যে সে রূপান্তর নয়,একেবারে 'ঈশ্বর' হয়ে ওঠার রূপান্তর! এইসব প্রতীকের অর্থ আপনার কাছে যাই মনে হোক না কেন,ম্যাসনদের কাছে এগুলো আলাদা অর্থ বহন করে। নরমুন্ডুটা (ক্যাপুট মরটাম) হল মানুষের চূড়ান্ত নিঃশেষ হওয়ার প্রতীক। সালফার এবং লবণ হল অ্যালকেমিক্যাল প্রভাবক যা কিনা রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করে। মোমবাতি হল প্রাচীন আগুনের প্রতীক। কাস্তে হলো প্রকৃতির কর্ষণের প্রতীক মানে প্রকৃতির দেয়া সম্পদ আহরণ করা। প্রত্যেক ম্যাসনিক লজেই এরকম চেম্বার থাকে (বাকি ছবি দুইটা ম্যাসনিক লজের)। খেয়াল করে দেখুন চেম্বারের দেয়ালে পাথরে VITRIOL শব্দটা খোদাই করা। এই শব্দটা হল ম্যাসনদের ধ্যান করার মন্ত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ,যার পূর্ণরূপ হল -- "ভিস্তা ইন্তেরিওরা,রেক্তিফিকান্দো ইনভেনস ওকালতাম লাপিদেপ"। যার অর্থ হল - "পৃথিবীর অভ্যন্তরে গমন করো পরিশুদ্ধ করো নিজেকে,তাহলেই খুঁজে পাবে লুক্কায়িত পাথর।" (এই লুক্কায়িত পাথরটা আদতেই লুকানো আছে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের বেইজমেন্টে,মাটির অনেক গভীরে)
এই লুক্কায়িত পাথর হল ইলুমিনাতি-ফ্রিম্যাসন্সদের অসমাপ্ত পিরামিডের একটি ক্যাপস্টোন। যেই অসমাপ্ত পিরামিডের ছবি প্রতিটা আমেরিকান ওয়ান ডলারের নোটে দেখা যায়। আর এই অসমাপ্ত পিরামিডের ছবিটা হল বিশ্বের সবচাইতে বেশি প্রকাশিত এক সিম্বল। এই লুক্কায়িত পাথর বা পিরামিডের ক্যাপস্টোনের আসল নাম টালিস্ম্যান। যা অসমাপ্ত পিরামিডের চূড়ায় বসে পিরামিডকে সমাপ্তি দান করে। আমেরিকার ক্যাপিটল হিল ভবন,ক্যাপিটাল রটুন্ডা,ওয়াশিংটন মনুমেন্ট এগুলো সবই ম্যাসনিক স্থাপনা। এই স্থাপনাগুলোর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ফ্রিম্যাসনস সাইন-সিম্বল।
আজ আপনাদের একটু ভিন্ন তথ্য জানাবো।
প্রথম যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন তা হল ম্যাসনিক সিম্বল। দু'মাথার ফিনিক্স পাখি- যা কিনা ম্যাসনদের অনিবার্য জ্ঞানের প্রতীক। মাঝখানে পিরামিডে খোদাই করা 33 সংখ্যাটি ফ্রিম্যাসন্সদের সর্বোচ্চ ডিগ্রির প্রতীক। সর্বোচ্চ ডিগ্রি তেত্রিশ হওয়ার কারণ এর আগে ফ্রিম্যাসন্স সদস্যদের যাদের ম্যাসনিক ভাষায় বলা হয় 'ইনিশিয়েট' বা ' ভ্রাতৃ সংঘের ভাই' তাদের মোট তেত্রিশটি ধাপ অতিক্রম করে ভ্রাতৃ সংঘের সদস্য হতে হয়। পদ্ধতিটা অনেকটা প্রশিক্ষণের মত। এই ডিগ্রি আর রাইটসগুলো অনেক জটিল প্রক্রিয়ায় দেয়া হয়। সেসবের ব্যাখ্যা আরেকদিন দিব। একজন ইনিশিয়েট সব ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলে তাকে সর্বোচ্চ 33 ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তবে তেত্রিশ ডিগ্রি দেবার বেলায় একটু বেশিই সতর্কতা আর সংরক্ষণ নীতি প্রয়োগ করা হয়। টেকনিক্যালি এই সম্মানজনক ডিগ্রিটি কেবলমাত্র স্কটিশ রাইট এর অভ্যন্তরেই দেয়া হয়। স্কটিশ রাইট হল সুপ্রিম কাউন্সিল থার্টি থার্ড ডিগ্রির গভর্নিং বডি। এদের হেডকোয়ার্টার হলো হাউজ অব দি টেম্পল। "অর্ডো অ্যাব চাও" ধারণাটি ম্যাসনিকদের একটি আপ্তবাক্য যার অর্থ "বিশৃঙ্খলা থেকে শ্ঙ্খলা"।
দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ছবিগুলো লক্ষ্য করুন। একটা ঘর,যেখানে আছে একটা টেবিল,কংকালের খুলি,তরবারি, ক্রুশ সহ আরো কিছু জিনিস। এই ধরনের ঘরকে বলা হয় "চেম্বার অব রিফ্লেক্সশন"। এইসব ঘর হিমশীতল আর অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে স্থানে বানানো হয়,অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ড সেলের মত। এভাবে বানানোর কারণ যাতে করে একজন ম্যাসন তার নিজের নৈতিকতা অনুধাবন করতে পারে। এরকম একটা ভয়াল দর্শন ঘর দেখে আপনি হয়তো অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে বলতে পারেন,'এটা ধ্যান করার ঘর!' কিন্তু ম্যাসনদের ভাষায় এখানেই মৃত্যুর মতো অনিবার্য ব্যাপার নিয়ে ধ্যান করার মাধ্যমে একজন ম্যাসন বহু মূল্যবান মানব জীবনের প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে। এই চেম্বার অব রিফ্লেক্সশন ঘরে সবসময়ই থাকে বিশেষ কিছু প্রতীক--নরমুণ্ড, হাড়ের তৈরি ক্রুশ,কাস্তে,বালিঘড়ি,সালফার,লবণ, সাদা কাগজ,মোমবাতি। ম্যাসনদের মতে এগুলো মৃত্যুর প্রতীক,যা দেখে নাকি তারা এই পৃথিবীতে আরো ভালোভাবে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। সোজা কথায়, "রূপান্তরের প্রতীক"। এই রূপান্তর আবার যে সে রূপান্তর নয়,একেবারে 'ঈশ্বর' হয়ে ওঠার রূপান্তর! এইসব প্রতীকের অর্থ আপনার কাছে যাই মনে হোক না কেন,ম্যাসনদের কাছে এগুলো আলাদা অর্থ বহন করে। নরমুন্ডুটা (ক্যাপুট মরটাম) হল মানুষের চূড়ান্ত নিঃশেষ হওয়ার প্রতীক। সালফার এবং লবণ হল অ্যালকেমিক্যাল প্রভাবক যা কিনা রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করে। মোমবাতি হল প্রাচীন আগুনের প্রতীক। কাস্তে হলো প্রকৃতির কর্ষণের প্রতীক মানে প্রকৃতির দেয়া সম্পদ আহরণ করা। প্রত্যেক ম্যাসনিক লজেই এরকম চেম্বার থাকে (বাকি ছবি দুইটা ম্যাসনিক লজের)। খেয়াল করে দেখুন চেম্বারের দেয়ালে পাথরে VITRIOL শব্দটা খোদাই করা। এই শব্দটা হল ম্যাসনদের ধ্যান করার মন্ত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ,যার পূর্ণরূপ হল -- "ভিস্তা ইন্তেরিওরা,রেক্তিফিকান্দো ইনভেনস ওকালতাম লাপিদেপ"। যার অর্থ হল - "পৃথিবীর অভ্যন্তরে গমন করো পরিশুদ্ধ করো নিজেকে,তাহলেই খুঁজে পাবে লুক্কায়িত পাথর।" (এই লুক্কায়িত পাথরটা আদতেই লুকানো আছে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের বেইজমেন্টে,মাটির অনেক গভীরে)
এই লুক্কায়িত পাথর হল ইলুমিনাতি-ফ্রিম্যাসন্সদের অসমাপ্ত পিরামিডের একটি ক্যাপস্টোন। যেই অসমাপ্ত পিরামিডের ছবি প্রতিটা আমেরিকান ওয়ান ডলারের নোটে দেখা যায়। আর এই অসমাপ্ত পিরামিডের ছবিটা হল বিশ্বের সবচাইতে বেশি প্রকাশিত এক সিম্বল। এই লুক্কায়িত পাথর বা পিরামিডের ক্যাপস্টোনের আসল নাম টালিস্ম্যান। যা অসমাপ্ত পিরামিডের চূড়ায় বসে পিরামিডকে সমাপ্তি দান করে। আমেরিকার ক্যাপিটল হিল ভবন,ক্যাপিটাল রটুন্ডা,ওয়াশিংটন মনুমেন্ট এগুলো সবই ম্যাসনিক স্থাপনা। এই স্থাপনাগুলোর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ফ্রিম্যাসনস সাইন-সিম্বল।
No comments