Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ইলুমিনাতি পর্ব - ৬



    ইলুমিনাতি পার্ট - ৬

    The Illuminati will kill anyone, anywhere at any time to get what they need.

    জ্বী হ্যা,যে কেউ ইলুমিনাতির বিরুদ্ধে গেলেই তাকে হত্যা করা হবে এবং সেটা এমন সূক্ষ্ম কৌশলে যে সাধারণ দৃষ্টিতে সেটা আমাদের কাছে এক্সিডেন্ট বা স্বাভাবিক মৃত্যু বা সাধারণ হত্যাকান্ড বলে মনে হয়।  কিন্তু না, পৃথিবীর সব রহস্যময় হত্যাকান্ডের পিছনে অদৃশ্য
    ভূমিকা ছিল ইলুমিনাতির। জেনে নিন ইলুমিনাতির ভয়াবহ হত্যা শিকারর কারা হয়েছিল-

    -2pac এবং মাইকেল জ্যাকশন ( এরা দুজনেই বিশ্বকে ইলুমিনাতির প্ল্যানিং সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। ফলাফল নির্মম মৃত্যু। আপনি যদি 2pac এলবামের টাইটেল লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন সেখানে লেখা আছে "The Don Killuminati : The 7 day Theory "। অর্থাৎ Killuminati শব্দটা বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় "Kill+ Illuminati"। এই এলবামের মাইকেল জ্যাকশনের গাওয়া " They don't care about us" গানে "they" বলতে গুপ্ত সংঘ ইলুমিনাতিকে বোঝানো হয়েছে)
    -বব মারলি,মেরিলিন মনরো,জিমি হেন্দ্রিক্স
    -জন এফ কেনেডি, আব্রাহাম লিংকন,প্রিন্সেস ডায়না,মার্টিন লুথার কিং

    এদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের মৃত্যুর ১৪৮ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সমাধান হয়নি তার মৃত্যুর রহস্যের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন খুন হন আততায়ী জন উইল্কিস বুথের গুলিতে। ধরা পড়ার সময় বুথ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিল, যে কিনা নিজের হাত পর্যন্ত নাড়াতে সক্ষম ছিল না। কিন্তু ধরা পড়ার পর বীভৎস "আত্মহত্যা" হয় বুথের পরিণতি। খুব গোপনে অজ্ঞাত এক স্থানে কবর হয় এই আততায়ীর। কিন্তু গবেষকরা মনে করেন সেই কবরে নেই বুথের মরদেহ। আর আদালতও  অনুমতি দেয় নি ডি এন এ পরীক্ষার।

    শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য। একজন খুন হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রপতি ও তাঁকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া আততায়ী। অতঃপর আততায়ীকে পাওয়া গেল আহত অবস্থায়। মৃত্যুশয্যায় জবানবন্দী নেয়ার পরপরই আততায়ীর বীভৎস আত্মহত্যা। আততায়ীর পরিবারে চরম সামাজিক অসম্মানের সাথে আদালতে উত্থাপিত হতে লাগলো একের পর এক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। তর্ক-বিতর্ক চলার মাঝখানেই আততায়ীকে গোপনে কবর দেয়া হলো আর সেটি করা হলো কোন রকম চিহ্ন না রেখেই। অতঃপর একদিন দাবি উঠলো সন্দেহভাজন কবরের মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে ডি এন এ বিশ্লেষণের জন্য। উপরের কথাগুলোর সব গুলোই কি মনে হচ্ছে না কোন এক জটিল ধাঁধা? গত ১৫০ বছর ধরে এই জটিল আর এলোমেলো সূত্রগুলোকে এক সাথে সাজিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যু আর কল্পকাহিনীর ডাল-পালার অস্বাভাবিক বিস্তার কোথায় যেন সত্যকে আড়াল করে দিচ্ছে। আব্রাহাম লিঙ্কন যখন খুন হন সেসময় আমেরিকার দক্ষিণের কিছু রাজ্য স্বাধীন হয়ে যেতে চাইছিলো, কিন্তু লিঙ্কন আমেরিকার একত্রীকরণে আগ্রহী ছিলেন। বুথ ভেবেছিল, লিঙ্কনকে মেরে ফেললে এই ইস্যুটিকে পুনর্জীবিত করা যাবে। তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। অচিরেই বুথকে খুঁজে বের করা হয়। এরপর বুথ আত্মহত্যা করে। সমস্যা হলো, ধরা পড়ার সময় বুথ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিল, যে কিনা নিজের হাত পর্যন্ত নাড়াতে সক্ষম ছিল না। তাহলে বুথ কিভাবে মারা গেল?

    বুথ কি আসলেই আত্মহত্যা করেছিলেন? নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল? ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত তদন্ত রিপোর্টের পুরোটাই ছিল ঘোলাটে যেটা ঘটনার সমাধান না করে বিতর্কটিকে আরো উসকে দেয়। এটাও বলা হয় বুথের বদলে হয়তো অন্য কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। ইতিহাসবিদরা এটিকে খুব বেশি গুরত্ব না দিলেও বুথের মৃত্যু নিয়ে এই ঘটনাগুলো  কিছুদিন পর পরই নতুন বিতর্ক নিয়ে ফিরে আসে। নেট অর্লোওয়েক তাঁর জীবনের চল্লিশ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন ঘটনার রহস্য উন্মোচনে। তিনি বলেন, “যে কোন তথ্য খুঁজে বের করার জন্য আমাদের জানা ও অজানা, ইতিহাসে উল্লেখিত কিংবা লুকায়িত-সব বক্তব্য জানতে হবে।“ তাঁর মতে, বুথ আত্মহত্যা করেছেন বলে যে কথা ইতিহাস বলছে তা হয়তো ঠিক নয়। যদিও তিনি বা এরকম যারা বিশ্বাস করেন, তাদের হাতে এ সংক্রান্ত প্রমাণ খুব কম আছে। ওর্লোয়েক ও বুথের উত্তরাধিকারীরা এবার সত্য অনুসন্ধানে ডি এন এ টেস্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। যেটা হয়তো জানাবে বুথ কি নিজেই আত্মহত্যা করেছিল নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। একাজের জন্য প্রথমে তাঁদেরকে বুথ এর ভাই এডউইন বুথ এর দেহাবশেষ সমাধি থেকে অনুমতি সাপেক্ষে তুলতে হবে। এরপর এতে প্রাপ্ত ডি এন এ’র সাথে ১৪৮ বছর আগে যে ব্যক্তিকে ঘাড়ে গুলি করে মারার পর বুথ হিসেবে নির্ণয় করা হয়েছিল, তার মেরুদণ্ডের তিনটি হাড়ের নমুনাতে প্রাপ্ত ডি এন এ’র সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। ওর্লোয়েক ১৯৯২ সালে গ্রিন  মাউন্ট সিমেট্রি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তাদের সমাধিক্ষেত্রে বুথ এর সম্ভাব্য কবর থেকে বুথের দেহাবশেষ তোলার। কর্তৃপক্ষ আবেদন এই বলে নাকচ করে দেয়, এ ধরণের ‘সিনেমাটিক’ কাজের জন্য তারা সমাধিক্ষেত্রের পরিবেশ নষ্ট করতে পারবেন না। এবার ওর্লোয়েক ও বুথের উত্তরাধিকাররা সিমেট্রির বিরুদ্ধে মামলা করলেন। দীর্ঘ দিন চলার পর আদালতের রায় ছিল এরকম, “ বুথের দেহাবশেষ বলে দাবি করা শবদেহ ১৮৬৫ সালে কোন এক অজ্ঞাত স্থানে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, সেই একই কবরে বুথের তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাই-বোনকে কবর দেয়া হয়েছে। এই কবরের মাটি পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া তার দাঁতের তথ্যগুলো কোন রেকর্ডে রাখা হয় নি, যেগুলো মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। তাই, যে কোন ধরণের খননকাজে কোন ফলাফল আসবে না।...” এরপরে অনেকবার আবেদন করার পরও আদালত তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

    ইলুমিনাতির সাথে জড়িত বিখ্যাত কতগুলো পরিবারও আছে।
    1. Astor 2. Bundy 3. Collins 4. DuPont
    5. Freeman 6. Kennedy 7. Li (Chinese) 8. Onassis 9. Rockefeller
    10. Rothschild 11. Russell 12. van Duyn 13. Merovingian (European Royal Families) এবং এই বিখ্যাত ফ্যামিলিগুলোর বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান
    Reynolds,Disney, Krupp, McdDonald হল ইলুমিনাতিদের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।

    শুধু এইসব হত্যাকান্ডই নয়,অতীত ও বর্তমানের বেশিরভাগ যুদ্ধই ইলুমিনাতিদের ইশারায় সংঘটিত হয়েছে,হচ্ছে। স্প্যানিশ -আমেরিকান যুদ্ধ, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, জার্মানিতে নাজীর উদ্ভব, কোরিয়ান যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং ইরাক, আফগানিসস্তান ও সিরিয়ার চলমান যুদ্ধ। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে এত হিংসা-ক্রোধ,জাতিবিদ্বেষ সবই ইলুমিনাতি চক্রের ফসল। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড ক্রাইসিসে ব্রেন্টন ট্যারন্ট নামে যে ব্যক্তিটি হত্যাকান্ড চালিয়েছে আদালতে তাকে তোলার পর সে ইলুমিনাতি সাইন প্রদর্শন করেছিল। যদিও মিডিয়ায় সেই সাইনটাকে বর্ণবাদী চিহ্ন বলে প্রচার করা হচ্ছে অর্থাৎ বলা হচ্ছে এই চিহ্নটা "শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের" প্রতীক। যদি তাই হয় তবে বারাক ওবামা কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও কেন একই সাইন ব্যবহার করেন?? তিনি তো শেতাঙ্গ নন। সুতরাং এই হত্যাকান্ড যদি বর্ণবাদ বিদ্বেষের ফলেই হয় তবুও এর পেছনের মূল হোতা কারা সেটা বুঝতেই পারছেন।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728