Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ইলুমিনাতি পর্ব -৮



    ইলুমিনাতি পর্ব -৮

       ইলুমিনাতির গত পর্বে আপনাদের Weather Modification সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলাম আর বলেছিলাম পরের পর্বে এই ওয়েদার মডিফিকেশনের সাথে ইলুমিনাতির কী সম্পর্ক তা জানাবো। এই পর্বটা যারা বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখেন তারা বেশ ভালো বুঝতে পারবেন। আজ আপনাদের জানাবো ৩ টি হলিউড মুভি, স্যাটেলাইট কেন বানানো হয়, এজেন্ডা 21 কী আর কিভাবে পৃথিবীতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগ তৈরি করা হয়।


       প্রথমেই আলোচনা করবো হলিউড মুভি Geostorm নিয়ে। মুভিটি অনেকেই হয়তো দেখেছেন। কখনো কি ধরতে পেরেছিলেন মুভিতে আসলে কি ইংগিত দেয়া হয়েছে? যদি বুঝতে না পারেন তবে এই পর্ব পড়া শেষে মুভিটি আরেকবার মনোযোগ দিয়ে দেখে নিন। দেখুনতো অজান্তেই চমকে যান কিনা! এই মুভিতে দেখানো হয়েছে মানুষ ভবিষ্যতে এমন স্যাটেলাইট বানাবে যার সাহায্যে সম্পূর্ণ পৃথিবীর আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সেই ভবিষ্যৎ এসে গেছে। মানুষ এখন আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। যেমন ধ্বংসযজ্ঞ এই মুভিতে দেখানো হয়েছে তা বাস্তব পৃথিবীতেও হতে পারে। এই মুভিতে যে স্যাটেলাইট ইউজ করা হয়েছে তা পৃথিবীর আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য। যা ব্যবহার করে সরকার নিজের দেশেই দূর্যোগ সৃষ্টি করে। যদি প্রশ্ন করেন সরকার কেন এমনটা করবেন তাহলে তার উত্তর হল দূর্যোগের মাধ্যমে অসহায় করে দেয়া মানুষদের সহজেই পৃথিবীর অভিজাত সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাছাড়া পৃথিবীর জনসংখ্যা কমানোর মাধ্যমে যেহেতু পৃথিবীর মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে তাই Depopulation এর জন্যেও স্যাটেলাইট ব্যবহার করা যাবে। পৃথিবীর জনসংখ্যা কমানো বা ডিপপুলেশন করার ব্যাপারটা যাদের কাছে ভুয়া মনে হয় তারা Depopulation লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেই সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। Geostorm মুভির ট্রেইলারেই আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের মাত্র একটি পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের যে চারটি পদ্ধতি আছে তা আপনাদের আগেই বলেছি।

        এবার Geostorm মুভিটির কিছু কথোপকথন দেখুন। এই মুভিতে যখন Extreme Weather Alert সিনটা আসে তখন কি বলছে খেয়াল করুন -"সেনেটা কমিটি" এখন আপনারা 'জ্যাক এপলোস' এর মুখ থেকে শুনবেন যিনি "ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন" ( ISS) এর আবহাওয়া প্রধান এবং প্রধান সমন্বয়কারী।......
    ".....আসলে আমাকে সরাসরি মহাকাশ থেকে এখানে আসতে হয়েছে। স্যাটেলাইট সিস্টেমকে ধন্যবাদ। প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।....... মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমাদের এক থার্মাল স্যাটেলাইটে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমাদের সব স্যাটেলাইট বন্ধ করে দিতে হবে। আমার আপনাদেরকে এটা মনে করানোর প্রয়োজন নেই যে কত লোক মারা যাবে এই খারাপ আবহাওয়ার কারণে।... মনে রেখ এরকম যেন আর না হয়।......সুরক্ষিত যাত্রার জন্য শুভকামনা স্যার। শুধু কোনকিছু ছুড়বেন না। " এই পর্যায়ে এসে মহাকাশ যাত্রী জ্যাক এপলোস মহাকাশে ফিরে যায়। যাওয়ার পরেই সে দেখতে পায় তার মহাকাশে প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের মনে হয় হয়তো স্যাটেলাইটে কোন সমস্যা হয়েছে। কিন্তু সেটা শুধু তাদের না সবার স্যাটেলাইটেই প্রব্লেম হচ্ছে! আর এটা কোন ত্রুটির কারণে হচ্ছে না এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!! এই ত্রুটি সম্পূর্ণ পৃথিবীতে ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক আবহাওয়া নিয়ে আসতে পারে। আর সেটা হল "এক Geostorm" অর্থাৎ 'মানবসৃষ্ট তুফান'। এরপরই তারা সমগ্র স্যাটেলাইট সিস্টেম বন্ধ করে দেয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠে। কিন্তু অবাক কান্ড স্যাটেলাইট বন্ধ করার পাসওয়ার্ড আছে শুধুমাত্র 'প্রেসিডেন্ট' এর কাছে! জ্যাক এপলোসকে দায়িত্ব দেয়া হয় এই দূর্যোগ বন্ধ করার। কিন্তু সে হতাশ হয়ে বলে এটা কেউই পারবে না। এরপরই দেখানো হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। বুঝতে পারছেন কেন ইংলিশ মুভিগুলো এতটা সায়েন্টিফিক হয়। আসলে এগুলো সবই তাদের ইলুমিনাতি-স্যাটানিজমের প্রদর্শন। তাই শুধু বিনোদনের জন্য নয় একটু চোখ-কান খোলা রাখবেন এসব দেখে। জায়োনিস্টরা দাজ্জালের আগমণের সময়কে কিভাবে কন্ট্রোল করবে প্রত্যেক হলিউড মুভিতে ঠিক সেগুলোই এক্সপোস করা হয়।

        এই মুভিতে দেখানো স্যাটেলাইটের ন্যায় লেজার বিম ব্যবহার করে আবহাওয়া এবং হারিকেন অর্থাৎ সামুদ্রিক ঝড়কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিনা তা প্রমাণ হয় বিখ্যাত ফিজিসিস্ট মিচিও কাকু'র (নিউইয়র্ক এর City college এর ফিজিক্স প্রফেসর) এক সাক্ষাৎকারে। CBS এর এক climate control নামক ইন্টার্ভিউ এ তিনি বলেন - ''লেজার সত্যিই আবহাওয়াকে পরিবর্তন করতে পারে। মার্ক টুইন একবার বলেছিলেন 'সবাই আবহাওয়া নিয়ে অভিযোগ করে কিন্তু কেউ কখনো কিছু করে না।' ভালো,বৃষ্টিতে নাচানাচি না করে আমরা পদার্থবিজ্ঞানীরা ট্রিলিয়ন ওয়াটের 'লেজার' আকাশে ছুড়ে দেই বৃষ্টি ও বজ্রপাত করানোর জন্য।'' মিচিও কাকু'র ভাষ্যমতে এটা হল Game Changer. তিনি আরো বলেন- "এটা ল্যাবরেটরিতে কাজ করে। যখন আপনার কাছে 'পানির বাষ্প' এবং 'ধূলিকণা' বা 'বরফ চূর্ণ' থাকবে তখন আপনি বৃষ্টি করাতে পারবেন। এটা 'সীড' (আগের পর্বে সীড কী তা আলোচনা করা হয়েছে) এর চারদিকে ঘনীভূত হয় আর এই 'সীড' গুলো লেজার বীমের সাহায্যে তৈরি করা যায়,ট্রিলিয়ন ওয়াটের লেজার বীম নিক্ষেপ করার মাধ্যমে ইলেকট্রনগুলো আলাদা করলে এই আয়নগুলো সীড ও ধূলিকণার ন্যায় আচরণ করে। যা বৃষ্টি এমনকি বজ্রপাতওও ঘটায়। "

       যেসব ব্যক্তি ওয়েদার কন্ট্রোলের এই টেকনোলজিতে সবথেকে বেশি অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেমস ম্যাকানি। ১৭ আগস্ট, ২০১৭- ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত হারিকেন হার্ভে ও হারিকেন ইরমা নামে দুইটি হারিকেন আমেরিকায় আঘাত হানে। তখন প্রফেসর জেমস ম্যাকানি INFO Wars নামক এক চ্যানেলে দেয়া এক ইন্টার্ভিউ এ সত্য প্রকাশ করেন যে এই দুটি হারিকেন মানবসৃষ্ট ছিল। সাক্ষাতকারে তার কথোপকথন ছিল এরকম -"আমি রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের সাথে ১৯৯০ এর মধ্যভাগে কাজ করেছি। এবং আমরা যা ডেভেলপ করেছি তা হল সামুদ্রিক ঝড়কে কমিয়ে সমুদ্রতীর হতে দূরে পাঠিয়ে দেয়া। এরপর এই প্রযুক্তি আমেরিকান মিলিটারির হাতে তুলে দেয়া হয় কারণ রাশিয়ার সামুদ্রিক ঝড়ের কোন সমস্যা নেই কিন্তু আমেরিকার আছে। এই তথ্য ২০০০ সালেই আমেরিকান মিলিটারিরা পেয়ে যায়। তারা তিনটি বড় স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায় কিন্তু তারা বলে যে এটা শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য। কিন্তু আসলে সেগুলো হল লেজার স্যাটেলাইট। যেটা তারা ব্যবহার করে ঝড়কে নিয়ন্ত্রণের জন্য। এটাই সেই সময় যখন আসল 'ঝড় প্রভাবিকরণ' সমস্যাগুলো শুরু হয়।" আবহাওয়াবিদরা আমাদের বলে থাকে যে ঝড় স্বাভাবিকভাবে উষ্ণ পানির বাষ্প থেকে তৈরি হয়েছে। জেমস ম্যাকানির ভাষায় এটা একেবারেই ভুল। প্রকৃতপক্ষে এই ঝড়কে ইলেকট্রিক কারেন্টের শক্তি দেয়া হয় আয়োনস্ফিয়ার থেকে। তারা এখন সেটাই ব্যবহার করছে। জেমস ম্যাকানি আরো বলেন হারিকেন ইরমা বানানো এবং ডিজাইন করা হয়েছিল পূর্ব আটলান্টিকে এবং এরপর সেটাকে পথ দেখিয়ে দেয়া হয়েছিল। কারণ এটাই যে সেসব সামুদ্রিক ঝড় সম্পর্কে বিশ্বাসের সহিত ভবিষৎবাণী করা হয়েছিল সেটা ফ্লোরিডার দিকে যাচ্ছে তাও প্রায় ১ সপ্তাহ পূর্বেই! জেমস ম্যাকানি নিজেই স্বীকার করেছেন যে এটা অন্যতম কৃত্রিমভাবে প্রভাবিত এক ঝড় যা তার সম্পূর্ণ জীবনে দেখা ঝড়ের মধ্যে প্রথম যাকে কিনা 'পথ দেখিয়ে' দেয়া হয়েছিল!! সাথে আছে হারিকেন ক্যাটরিনা যেটাও সম্পূর্ণ কৃত্রিমভাবেই তৈরি করা এক ঝড়। যেটা ফ্লোরিডাকে ধ্বংস করার পথে ছিল। ঠিক যেভাবে হারিকেন হার্ভে ফ্লোরিডাকে, হোস্টনকে শুণ্য করে দিয়েছে। সাক্ষাতকারে জেমস ম্যাকানি আরো বলেন-''আমি জানি না। আমার কোন অধিকার নেই। যদি আমি এসব লোকদের মাথার ভিতরে ঢুকাতে পারতাম। হয়তোবা আমি সেখানেই একটা বই লিখে আসতাম এই বিষয়ে। কিন্তু তারা পাগলাটে। যদি আমি এই বিষয়ে সবার কাছে বলা শুরু করি তাহলে মানুষ ভাববে আমি পাগল। লেজার স্যাটেলাইট নিয়ে বলা যাবেনা। কিন্তু আমার কাছে বিচিত্র লেগেছে যে তারা এই ব্যাপারটা নিউজ এবং নিউজ মিডিয়াতে থাকা আবহাওয়ার খবরে ছড়াচ্ছে যে সামুদ্রিক ঝড়গুলো উষ্ণ পানির বাষ্পের কারণে হচ্ছে!!" অর্থাৎ মিডিয়ায় আমরা ঝড়ের যে কারণ শুনি তা সবসময় সঠিক হয় না।

        আবহাওয়া বিজ্ঞানী এন্ডারস লিভারম্যান হারিকেন হার্ভে আর হারিকেন ইরমা সম্পর্কে বলেন-" একজন আবহাওয়া বিজ্ঞানী হয়েও আমি হতবাক হয়েছি হারিকেন হার্ভের সামান্য কিছু পরেই আরো একটি শক্তিশালী ধ্বংসাত্মক ঝড় দেখে।" অর্থাৎ এত কম সময়ে দু'দুটি হারিকেন আঘাত হানায় তিনি বিস্মৃত।

    আমেরিকার জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল CNN এ হারিকেন হার্ভে ও হারিকেন ইরমা আঘাত হানার পরবর্তী হোস্টনের অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে এই দূর্যোগে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং তারা খাদ্য ও বাসস্থানের জন্য সম্পূর্ণরূপে সরকারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ফলে এখন তারা সরকারের "নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার"কে মানতে বাধ্য হবে।

    Kimberly Carter Gumble একজন মার্কিন মুভি প্রডিউসার, ডিরেক্টর এবং কো-রাইটার যিনি ২০১১ সালে Thrive নামক একটি ডকুমেন্টারি মুভি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি ইলুমিনাতি-নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছিলেন। ইলুমিনাতি মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমেই তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে। Kimberly এই ডকুমেন্টের ইন্টার্ভিউ এ কিভাবে ওয়েদার মডিফিকেশনের মাধ্যমে এই অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা যায় সে সম্বন্ধে বলেছিলেন হারিকেন হার্ভে ও হারিকেন ইরমা আঘাত হানার চার বছর পূর্বে। হোস্টনে ২০১৭ সালে যেভাবে খাদ্য ও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে মানুষকে সরকারের আওতাধীন করে ফেলা হয় খাদ্য সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে Kimberly এই ইংগিত দিয়েছিলেন-"অনেকে মনে করেন এটি একটি কর্পোরেট এজেন্ডা যাদের ঊর্ধ্বতন হাত/ক্ষমতা আছে পণ্যদ্রব্যের উপর। কারণ তারা আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং আবহাওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে। আমরা অনুভব করি যে সমগ্র পৃথিবীর ৮০% অর্থনীতি আবহাওয়ার দ্বারা প্রভাবিত;যার উপর নিশ্চিত 'উপর মহলের' হাত থাকে। অনেকে আবার এটা মনে করেন যে এটি খুবই 'অশুভ' পরিকল্পনা মানুষকে পীড়িত করার এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করার।" এই উপর মহল কারা নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন।

       পৃথিবীর মানুষকে সহজে নিয়ন্ত্রণের জন্য ইলুমিনাতি ডিপপুলেশনের জন্য অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যা কমানোর জন্য এজেন্ডা ২১ নামক এক প্রজেক্ট চালু করে। ওয়েদার মডিফিকেশনের জন্য যে chemtrail ব্যবহার করা হয় তা মানব শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক যা মানব দেহের লিভার,কিডনি,ব্রেইন,শরীরের হাড়ের ক্ষতিসাধন সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। ওয়েদার মডিফিকেশনে ব্যবহৃত এই chemtrail মরণব্যাধি ক্যান্সারের কারণ। আবার আসি জেমস ম্যাকানির সেই ইন্টার্ভিউ এ। যেখানে তার কথা শোনার পর সাক্ষাতকারের শেষে উপস্থাপক বলেছিলেন-"প্রফেসর জেমস ম্যাকানি আমি খুবই প্রভাবিত হয়েছি। এখনো অনেক কিছু রিসার্চ বাকি এবং অনেক কিছু জানার বাকি। কিন্তু অনেক কিছু ঘটে চলেছে! এই কথাটা তাদের সম্পর্কে যারা সম্পূর্ণ সমাজ ব্যবস্থার 'গুপ্ত পৃথিবীব্যাপ্তি বৈজ্ঞানিক ও মিলিটারি প্রতিষ্ঠানের Elite'। যেমনটা 'Eisenhower' আমাদের 'সতর্ক' করেছিলেন! এবং এখন এই নতুন 'অতি অভিজাত সমাজ' চায় লোকজন কমিয়ে ফেলতে এই পৃথিবী থেকে 'তাদের সৃষ্টিকর্তা'র কারণে। ঠিক 'Moonraker' উপন্যাসের ন্যায়।"

       উপস্থাপকের বলা এই Eisenhower হলেন আমেরিকার ৩৪ তম প্রেসিডেন্ট। কি ছিল Eisenhower এর সেই সতর্কবার্তা?? Eisenhower সাধারণ মানুষের সাথে মিলিটারি ও অভিজাত সদস্যদের হওয়া লড়াইয়ের ব্যাপারে যে সতর্কবাণী করেছিলেন তা অনেকটা Gray State মুভিতে দেখানো হয়েছে। ইচ্ছামতো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ ও নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার চাপিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে গণহারে সব মানুষের হাতে Rfid চীপ বসিয়ে দেয়া হয়। এব্যাপার নিয়ে মানুষ ও মিলিটারিদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। মানুষের 'স্বাধীনতা' ও মিলিটারির 'নিরাপত্তা' বিপরীতমুখীভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে এই ব্যাপারটিই দেখানো হয় ইলুমিনাতি এক্সপোসের উদ্দেশ্যে বানানো এ মুভিতে। Gray State মুভি বানানোর দায়ে এ মুভির ডিরেক্টরকে হত্যা করে ফেলা হয়।

       মিলিটারিদের এই নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জেমস ম্যাকানি বলেছেন-"মিলিটারিদের উদ্দেশ্য সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু অনেক আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মহাকাশকে মিলিটারীদের অধীনস্থ না করতে। ২০০১ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা ও আমরা যখন বুঝতে পারি যে আমেরিকা লেজার স্যাটেলাইট প্রেরণ করছে তখন রাশান বিজ্ঞানীরা ইউনাইটেড নেশন এর শরণাপন্ন হয় এবং একটি চুক্তির আবেদন করে। ইউনাইটেড নেশন একটি চুক্তি করে 'মহাকাশ নির্ভর আবহাওয়া নির্ভর সিস্টেম' নামে এবং আমেরিকা এতে সাইন করতে অস্বীকৃত হয়। কিন্তু তারা একই গ্রুপের লোক ছিল। আমেরিকা চুক্তিপত্রে সই করতে অস্বীকৃতি জানায় কারণ তারা এটা ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হবে যখন তারা সেটা তাদের নিজ দেশের মানুষের উপর ব্যবহার করবে। এবং আমেরিকা এখন নিজেদের দেশের মানুষদের বিরুদ্ধে তাই ব্যবহার করছে।"

    ইলুমিনাতি এবং ওয়েদার মডিফিকেশন দুটির লক্ষ্য একই; পৃথিবীর মানুষকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর তাই ওয়েদার মডিফিকেশনের পিছনে ইলুমিনাতির হাত থাকাটাই স্বাভাবিক। ইলুমিনাতি সিস্টেম কতটা গভীরে ছড়ানো এবার আপনারা নিজেরাই অনুধাবন করুন। আকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে ভেবে খুশি হবার কিছু নেই। সেই সাথে এটাও চিন্তা করুন দাজ্জাল আসার পূর্বেই আমরা কিভাবে দাজ্জালীয় সিস্টেমে বন্দী হয়ে আছি। কী পরীক্ষা দিবেন সেই কঠিন সময়ে?? আর কতটা সতর্ক করলে কিয়ামতে বিশ্বাস করবেন?? সাবধান হোন সময় ঘনিয়ে আসছে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728